এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল

জনপ্রিয় আর্টিকেল

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম – সেরা ১৫ টি টিপস

আর্টিকেল এর সূচিপত্র

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার নিয়ম জানা খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি একজন ব্লগার হয়ে থাকেন। তবে অবশ্যই আপনার আর্টিকেলগুলো এসইও ফ্রেন্ডলি হওয়া অত্যন্ত জরুরী। আপনার লেখা আর্টিকেলগুলো কিভাবে সার্চ ইঞ্জিনে অপটিমাইজ করবেন? তার জন্য আপনাকে সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কে ধারণা রাখা প্রয়োজন।

আমরা আজকের টিউটোরিয়ালে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত জানবো। এই একটি টিউটোরিয়াল এর মাধ্যমে আপনার আর্টিকেলকে ৯৯% এসইও ফ্রেন্ডলি করতে পারবেন। সত্যিই, আপনি এমন একটি ওয়েবসাইটের এই আর্টিকেল পড়তেছেন। যেখান থেকে আপনাকে শূন্য হাতে ফিরে যেতে হবে না। একটি আর্টিকেল বা কনটেন্টকে কমপ্লিট এসইও করার জন্য, যে সকল স্টেপগুলো ফলো করতে হয়। সেগুলো নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করব। তাহলে আর দেরি নয়, চলুন শুরু করা যাক।

সার্চ ইঞ্জিন কি?

SEO- এর পূর্ণরূপ Search Engine Optimization। যেহেতু আমরা একটি আর্টিকেলকে সার্চ ইঞ্জিনের জন্য অপটিমাইজেশন করব। সেহেতু আমাদের প্রথমে জেনে নেয়া উচিত যে, সার্চ ইঞ্জিন কি? সার্চ ইঞ্জিন হলো- ইন্টারনেটে বিষয়ভিত্তিক তথ্য অনুসন্ধান করা একটি ওয়েব এপ্লিকেশন। যার মাধ্যমে আমাদের প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো খুঁজে বের করতে পারি। এই সার্চ ইঞ্জিন আমাদের ইনপুটকৃত তথ্যের ভিত্তিতে। তার কাছে সংগৃহীত সকল তথ্যের মধ্যে এলগরিদম এর মাধ্যমে সর্বোত্তম মিল খুঁজে আমাদের সামনে উত্তর উপস্থাপন করে।

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল কি?

সাধারণত আপনি যখন সার্চ ইঞ্জিন এর সাথে সামঞ্জস্য রেখে কোন কন্টেন্টকে অপটিমাইজেশন করবেন। তখন তাকে এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল বলে। আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে তিনটি বিষয়ের উপর জোরারোপ করতে হবে।

  • প্রথমতঃ কনটেন্টকে এসইও ফ্রেন্ডলি করতে হবে।
  • দ্বিতীয়তঃ আপনার কনটেন্ট টি ভিজিটর ফ্রেন্ডলি হতে হবে।
  • তৃতীয়তঃ আপনার কনটেন্টটি গুগল সহ অন্যান্য সার্চ ইঞ্জিনে অপটিমাইজ হওয়ার উপযুক্ত হতে হবে।

 

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লেখার গুরুত্ব ও প্রয়োজনীয়তাঃ

ধরুন, আপনার আর্টিকেলটি আপনি ব্যতীত অন্য কেউ জানেনা। তাছাড়া ধরে নিতে পারি, আপনার বন্ধুবান্ধব কিংবা পরিচিত মানুষ আপনার ওয়েবসাইট সম্পর্কে জানে। অথবা আপনার আর্টিকেল সম্পর্কে জানে। তাহলে শুধুমাত্র তারাই আপনারা আর্টিকেলটি পড়তে পারবে। কিন্তু আপনার আর্টিকেলটি যদি সার্চ ইঞ্জিনের জন্য ভালোভাবে অপটিমাইজ করা না হয়। তাহলে কিন্তু যে কোন মানুষ আপনার আর্টিকেলটি খুঁজে পাবে না। দেখুন, আমরা সবাই ওয়েবসাইটে অর্গানিক ভিজিটর চাই। অর্গানিক ভিজিটর হচ্ছে- মানুষ যখন কোন সার্চ ইঞ্জিনে একটি তথ্য সার্চ করে। তখন সার্চ ইঞ্জিন অনেকগুলো ওয়েবসাইটকে খুঁজে ভিজিটরের কাছে সর্বোচ্চ সামঞ্জস্যপূর্ণ তথ্য উপস্থাপন করে। সেখান থেকে ভিজিট করা ভিজিটর হচ্ছে অর্গানিক ভিজিটর।

আর্টিকেল লেখার নিয়ম – বাংলা আর্টিকেল লিখে টাকা ইনকাম করার সেরা ১০ টি নিয়ম

অনলাইন থেকে ইনকাম করার সেরা ১০টি পদ্ধতি

ধরুন, আপনি সার্চ করলেন “এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল”। এখন সার্চ ইঞ্জিন আপনার সার্চ করা তথ্যের সাথে যে ওয়েবসাইটের সবচেয়ে বেশি মিল খুঁজে পাবে। কিংবা যে ওয়েবসাইটের অপটিমাইজেশন সবচেয়ে সুন্দর দেখবে। সেই ওয়েবসাইটটিকে প্রথম পেজে আপনার সামনে উপস্থাপন করবে। এবার একটু ভাবুন শুধু কি আপনার সার্চ করা তথ্যের সাথে একটি ওয়েবসাইটের আর্টিকেলের মিল রয়েছে? উত্তর হবে অবশ্যই না। তাহলে প্রথম পেজে কাদের ওয়েবসাইট সার্চ ইঞ্জিন শো করাবে কিংবা দেখাবে? শুধুমাত্র তাদের ওয়েবসাইট কিংবা আর্টিকেলগুলোকে প্রথম/দ্বিতীয় পেজে দেখাবে। যাদের আর্টিকেলগুলো সার্চ ইঞ্জিনের নিয়ম মেনে ভালোভাবে অপটিমাইজ করা হয়েছে।

সুতরাং অনায়াসে বুঝতে পারছেন যে, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন কেন এত বেশি গুরুত্বপূর্ণ। আপনি যদি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল না লিখেন। তাহলে প্রধান তিনটি বিষয় থেকে বঞ্চিত হবেন।

  • প্রথমতঃ অর্গানিক ভিজিটর থেকে বঞ্চিত হবেন।
  • দ্বিতীয়তঃ আপনার আর্টিকেলগুলো মানুষ খুঁজে পাবে না।
  • তৃতীয়তঃ আপনার আর্টিকেলগুলো থেকে মনিটাইজেশন এর মাধ্যমে কোনরূপ ইনকামের সুযোগ থাকবে না।

 

এবার চলুন আমরা জেনে আসি কিভাবে এবং কি কি স্টেপ ফলো করে একটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখা যায়। নিম্নে কতিপয় উপায় তুলে ধরা হলো। যার মাধ্যমে আপনি ৯৯% এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখতে পারবেন।

১। টপিক ও কিওয়ার্ড রিসার্চঃ

আপনি যেহেতু এই আর্টিকেলটি পড়তে পড়তে এত দূর চলে এসেছেন। তাহলে অবশ্যই বুঝতে পারছেন আজকে ব্লগ এর টপিক কি। আপনি যখন একটা আর্টিকেল লিখবেন। সর্ব প্রথম আপনাকে একটি টপিক নির্বাচন করতে হবে। মাথায় রাখতে হবে আপনি যে বিষয়ে আর্টিকেল লিখতেছেন। সে বিষয়টি মানুষের কাছে কতটা গ্রহণযোগ্য এবং কত মানুষ আপনার উক্ত টপিকের উপরে সার্চ করে থাকে।

আপনি যে টপিকের উপর আর্টিকেল লিখবেন তার জন্য একটি কিওয়ার্ড থাকে। কিওয়ার্ড শব্দটির বাংলা অর্থ হচ্ছে মূল শব্দ। অর্থাৎ আপনি যখন একটি টপিকের উপর কনটেন্ট লিখবেন। তখন কিওয়ার্ড দেখেই বুঝা যাবে আপনি কোন বিষয়ে আর্টিকেল লিখেছেন। যেমনঃ আমাদের আজকের আর্টিকেলের কিওয়ার্ড হচ্ছে “এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল”।

অনলাইনে কিওয়ার্ড রিসার্চ করার জন্য অনেক টুলস রয়েছে। তবে বাংলা কনটেন্ট এর জন্য সবচেয়ে বেশি জনপ্রিয় Ubersuggest (উবার সাজেষ্ট)। কিওয়ার্ড রিসার্চ করার ক্ষেত্রে আপনার কিছু বিষয় খেয়াল রাখতে হবে। প্রথমত, আপনি যে কিওয়ার্ডটি নির্বাচন করেছেন তার সার্চ ভ্যালু রয়েছে কিনা। হাই সার্চ ভ্যালু না থাকলে সে বিষয়ে আর্টিকেল লেখার প্রয়োজন নেই। অপরদিকে যদি দেখেন কিওয়ার্ড এর যথেষ্ট সার্চ ভ্যালু রয়েছে। কিন্তু কিওয়ার্ড ডিফিকাল্টি বা Rank করানো কঠিন। তাহলে আপনাকে অন্য আরেকটি কিওয়ার্ড নির্বাচন করা জরুরী। আরেকটি উপায় হচ্ছে, আপনি নির্বাচিত কিওয়ার্ডটি গুগলে সার্চ করলে আপনার কিওয়ার্ডের সাথে সম্পর্কিত অনেকগুলো কিওয়ার্ড দেখতে পাবেন। সেখান থেকে আপনি প্রথম তিনটি কিওয়ার্ডের মধ্যে যেকোনো একটি নির্বাচন করতে পারেন।

২। কিওয়ার্ড এর দৈর্ঘ্যঃ

আপনার নির্বাচিত কিওয়ার্ড টি সর্বোচ্চ ৪ থেকে ৬ শব্দের মধ্যে রাখতে হবে। Yoast Plugin চার শব্দে কিওয়ার্ড নির্বাচন করতে সাজেস্ট করে। সুতরাং আপনার নির্বাচিত কিওয়ার্ডটি যেন চার থেকে ছয় শব্দের মধ্যে হয়।

৩। হেডিং বা টাইটেলঃ

আপনার আর্টিকেলটি এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল করার জন্য অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় হচ্ছে টাইটেল। আপনার টাইটেল এ থাকা শব্দগুলো দেখে ভিজিটর বুঝতে পারবে আপনি কোন বিষয়ে আর্টিকেলটি লিখেছেন। তবে অবশ্যই আপনি টাইটেলে মেইন ফোকাস কিওয়ার্ড রাখবেন। ইম্প্রেশন বৃদ্ধির জন্য ক্লিকবেট টাইটেল না দিয়ে যথার্থ টাইটেল ব্যবহার করুন। কারণ, গুগল খুব সহজেই আপনার চালাকি ধরে ফেলতে পারবে।

৪। আর্টিকেলের ভূমিকা নির্বাচনঃ

আমরা যখন কোন প্রবন্ধ বা রচনা লিখি। সে ক্ষেত্রে ভূমিকা বা উপস্থাপনা দিয়ে থাকি। কারণ আমাদের লেখা প্রবন্ধ বা রচনার মধ্যে কোন বিষয়গুলো নিয়ে কথা হবে। সেটা আমরা ভূমিকাতে তুলে ধরি। ঠিক তেমনি ভাবে, আপনি যখন কোন আর্টিকেল বা কনটেন্ট লিখবেন। অবশ্যই প্যারাগ্রাফ আকারে একটি ভূমিকা লিখবেন। যাতে পাঠকরা খুব সহজেই বুঝতে পারে আপনি বিস্তারিত আর্টিকেলে কোন বিষয়ে তুলে ধরেছেন।

৫। আর্টিকেল সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্যঃ

এই পর্বে আপনি আর্টিকেলের বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরবেন। মনে রাখবেন, আপনি যে কীওয়ার্ড ব্যবহার করেছেন এবং শিরোনাম দিয়েছেন। তার সাথে সামঞ্জস্য রেখে পুরো আর্টিকেলটি শেষ করার চেষ্টা করতে হবে। বিস্তারিত তথ্যে অযথা কোন বাক্য ব্যবহার করবেন না। এমন কোন বাক্য ব্যবহার করা যাবে না। যার কারণে ডিজিটর পরবর্তীতে ওয়েবসাইট ভিজিট করা থেকে বিরত থাকে। এমনকি সে আপনার এই আর্টিকেল থেকেই এক্সিট (বের হয়ে যেতে) করতে পারে। তাই আপনার লেখা আর্টিকেলটি কিওয়ার্ড এবং টাইটেল ভিত্তিক লেখার চেষ্টা করবেন।

৬। প্যারাগ্রাফ আকারে লিখাঃ

উপরের স্টেপে আপনি যে বিস্তারিত আর্টিকেল লিখেছেন। সে তথ্য বা লিখাগুলোকে প্যারাগ্রাফ আকারে লিখবেন। প্রতিটি প্যারাগ্রাফে ১৫০ শব্দের কম রাখুন। তাহলে আপনার আর্টিকেলটি পাঠকের কাছে গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং সৌন্দর্য বৃদ্ধি হবে। ছোট প্যারাগ্রাফ আকারে লিখলে কনটেন্টকে ভালোমতো পড়ার উপযোগী মনে হয়।

৭। আর্টিকেলের শব্দ সংখ্যাঃ

আপনি যখন একটা আর্টিকেল লিখবেন। তখন অবশ্যই মনে রাখবেন, সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন করার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট শব্দের সংখ্যা নিয়ে আর্টিকেলটি লিখতে হয়। মান সম্মত একটি আর্টিকেল লেখার ক্ষেত্রে পরামর্শ থাকবে সর্বনিম্ন ৩০০+ শব্দের আর্টিকেল লিখতে। তবে ৬০০+ শব্দের আর্টিকেলগুলো খুব সহজে গুগলে অপটিমাইজ হয়।

৮। সাব হেডিং নির্বাচন করাঃ

যখন বিস্তারিত একটা আর্টিকেল লিখবেন। তার মধ্যে অনেকগুলো কোটেশন থাকতে পারে। কিংবা একটি শিরোনামের মধ্যে ক্ষুদ্র কয়েকটি বিষয় যুক্ত থাকে। যেমনঃ আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে স্বাভাবিক লেখার চাইতে লাল কালারের বড় আকারে যেসব লেখা দেখতে পাচ্ছেন এগুলো সাব হেডিং। রিড এবিলিটির ক্ষেত্রে সাব হেডিং খুব গুরুত্বপূর্ণ।

৯। মেটা ডেস্ক্রিপশনঃ

আমরা যখন সার্চ ইঞ্জিনে কোন একটি কিওয়ার্ড বা কোনো লিখা সার্চ করি। তখন টাইটেল এর নিচে ১০০ থেকে ১৫০ শব্দের একটি ডেসক্রিপশন দেখা যায়। সেটিকে মূলত মেটা ডেসক্রিপশন বলা হয়ে থাকে। এর আরেকটি নাম রয়েছে সার্চ ডেসক্রিপশন। আর অবশ্যই মেটা ডেসক্রিপশন আপনার আর্টিকেলের মধ্যে রয়েছে কিনা সেটা যাচাই করে নিবেন। মেটা ডেসক্রিপশনের প্রথমে অবশ্যই ফোকাস কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। যা সার্চ রেজাল্টে দেখানোর ফলে ভিজিটর কে আকর্ষণ করবে।

১০। কিওয়ার্ড ডেনসিটিঃ

কিওয়ার্ড ডেনসিটি বলতে বুঝায়- আপনি যে কিওয়ার্ডটি নির্বাচন করেছেন। সেটি সম্পূর্ণ আর্টিকেলের মধ্যে কতবার রয়েছে। যেমনঃ আপনি যদি ১০০০ শব্দের একটি আর্টিকেল লিখেন। তবে আপনার নির্বাচিত কিওয়ার্ডটি ৫-৭ বার রাখার চেষ্টা করুন। আর হ্যাঁ অবশ্যই অতিরিক্ত কিওয়ার্ড রাখার দরকার নেই।

১১। ফিচার ইমেজ ব্যবহার ও এসইওঃ

আমরা যারা সোশ্যাল মিডিয়া ব্যবহার করি। তারা প্রায় কোন একটি লিখা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলেও ছবির কারণে এড়িয়ে যেতে পারি না। পোস্টদাতা এমন একটি আকর্ষণীয় ছবি ব্যবহার করে। যা আপনাকে পোষ্টের সাথে থাকা লিখা পড়তে বাধ্য করবে। সুতরাং আপনার আর্টিকেলটি ইন্টারেক্টিভ করার জন্য একটি ফিচার ইমেজ যুক্ত করার বিকল্প নেই। তবে শুধু ফিচার ইমেজ নয়। ১০০০+ শব্দের কোন টিউটোরিয়ালে অবশ্যই কমপক্ষে তিন থেকে পাঁচটি ছবি যুক্ত রাখার চেষ্টা করবেন। ছবিগুলো আপনার আর্টিকেলের তথ্য অনুযায়ী সেটআপ করবেন। ছবির সাইজ ১০০ কেবির নিচে রাখুন এবং webp ফরমেটে আপলোড করুন। ছবির সাইজ ১২০০*৭২০ পিক্সেল রাখুন। ইমেজ এসইও করার ক্ষেত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে-

প্যাসিভ ইনকাম কি? প্যাসিভ ইনকাম করার সেরা ৫ টি উপায়

১। ছবিকে রিনেম করে আপনার কিওয়ার্ড লিখে দিবেন।
২। ছবির টাইটেলে আপনার আর্টিকেলের টাইটেল দিবেন।
 ৩। ছবির Alt তে কিওয়ার্ড ব্যবহার করবেন।

আপনার ইমেজটি যদি এসইও করা থাকে। তাহলে অনেক সময় কিওয়ার্ড সার্চ করে না পেলেও ছবি থেকে সহজে মানুষ আপনার আর্টিকেল খুঁজে পাবে।

১২। লিংক যুক্ত করাঃ

এসইও ফ্রেন্ডলি আর্টিকেল লিখার জন্য দুই প্রকার লিংক যুক্ত করা যায়। ইন্টার্নাল লিংক এবং আউটবন্ড লিংক।  ইন্টার্নাল লিংক হচ্ছে আপনি আপনার ওয়েবসাইটের অন্য কোন কনটেন্ট উক্ত আর্টিকেল এর মধ্যে সংযুক্ত করে দিবেন। তবে পূর্বে গুগলে অপটিমাইজকৃত যেকোনো আর্টিকেল ইন্টার্নাল লিঙ্ক করার চেষ্টা করবেন। আউট বন্ড লিংক হচ্ছে আপনার ওয়েবসাইটের ইউআরএল অন্য কোন ওয়েবসাইটের আর্টিকেল এর মধ্যে রয়েছে। সেই আর্টিকেলের লিংকটি আপনি আপনার এই আর্টিকেলে ব্যবহার করবেন। তবে আপনার ওয়েবসাইটের লিংক ব্যতীত অন্য যেকোন ওয়েবসাইটের লিংক ব্যবহার করলে আউটবন্ড লিঙ্ক কার্যকর হবে।

১৩। আর্টিকেলের উপসংহারঃ

সূচনা যেমন মধুর হয়, তেমনি উপসংহারে যেন সারসংক্ষেপ রয়। সম্পূর্ণ আর্টিকেল জুড়ে যে সকল বিষয়ে আলোচনা করা হয়েছে। তার একটি সারসংক্ষেপ সবার শেষে তুলে ধরার চেষ্টা করবেন। যেমনঃ ধরুন আমরা কোন একটি বই পড়ে তার রিভিউ প্রদান করি। রিভিউতে আমরা পুরো বইয়ের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলো নিয়ে একটি সারসংক্ষেপ তৈরি করে থাকি। যার মাধ্যমে মানুষ বুঝতে পারে আমি এই বইটি পড়ে কি শিক্ষা অর্জন করলাম। ঠিক তেমনি ভাবে আপনার আর্টিকেলের একটি সুন্দর উপসংহার লিখে ফেলুন।

রিড অ্যাবিলিটি (readability)

১। আর্টিকেলে লিখিত প্রতিটি বাক্যের শব্দ সংখ্যা ২০ এর বেশি হবে না। একটি বাক্য ১০ থেকে ২০ টি শব্দের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন। তবে বাংলা আর্টিকেলের ক্ষেত্রে ১০ শব্দের মধ্যে রাখার চেষ্টা করবেন।
২। আপনার আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ প্যাসিভ ভয়েসে লিখতে হবে।

রিডাবলিটির ক্ষেত্রে অন্যান্য যে সকল বিষয় রয়েছে। সে সকল বিষয় উপরে উল্লেখ করা হয়েছে। সুতরাং আপনি যদি উপরের ১৩+২ টি বিষয় ভালোভাবে অনুসরণ করে একটি আর্টিকেল লিখেন। তবে আমি আপনাকে নিশ্চয়তা দিচ্ছি ৯৯% আপনার আর্টিকেলটি এসইও ফ্রেন্ডলি হবে।

আশা করি লেখাটি আপনার ভালো লেগেছে। আপনার মতামত জানাতে ভুলবেন না। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। কথা হবে আবার কোনো নতুন আর্টিকেলে। ধন্যবাদ।

গুগল নিউজে পড়ুন- পাঠক বিডি

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার পরিচতদের সাথে শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
Twitter
Email
Print
Pathokbd Logo
সাবস্ক্রাইব
নোটিফিকেশন
guest
Ratting
1 মতামত
মতামত
নতুন পুরাতন
Inline Feedbacks
সব কমেন্ট দেখুন
Abdur Rahman
Abdur Rahman
অতিথি
January 16, 2024 1:24 pm
Ratting :
     

চমৎকার তথ্য দিয়েছেন।

Copyright © 2024 PathokBD.com