ভোকাবুলারি শেখা আর আয়ত্ত করা আলাদা জিনিস। শেখা মানে হচ্ছে গৎবাঁধা (নিয়ম বাঁধা, রুটিনমাফিক, গতানুগতিক) মুখস্থ করে যাওয়া আর আয়ত্ত করা মানে কোনো শব্দ নিয়ে খেলে সেটাকে ইমাজিন করা। আর তাই শব্দকে শেখার থেকে আয়ত্ত করা বেশি কার্যকরী। ইংরেজি ভোকাবুলারি মনে রাখার জন্য পড়া, পড়া আর পড়া সারাদিন পড়তেই হবে। এই অভ্যাস থেকে প্রথমে বেড়িয়ে আসতে হবে। কেননা এভাবে গতানুগতিক নিয়মে পড়ার টেবিলে ঘন্টার পর ঘন্টা বসে থাকলে ভোকাবুলারি মনে থাকবে না। ভোকাবুলারি মনে রাখার ক্ষেত্রে নিজেকে একটু কৌশলী হতে হবে। মানুষ পারে না এমন কোনো কাজ নেই।সেক্ষেত্রে একটু পরিশ্রমী হতে হবে। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক ভোকাবুলারি মনে রাখার বা সহজে আয়ত্ত করার কিছু কার্যকরী উপায়।
ভোকাবুলারি বলতে কি বুঝায়?
অভিধান বা শব্দকোষ এক ধরনের বই, যাতে একটি নির্দিষ্ট ভাষার শব্দসমূহ বর্ণানুক্রমে তালিকাভুক্ত থাকে এবং শব্দসমূহের অর্থ, উচ্চারণ, ব্যুৎপত্তি, ব্যবহার ইত্যাদি বর্ণিত ও ব্যাখ্যায়িত থাকে।
১. ইমাজিন দ্যা ওয়ার্ডঃ
কোনো একটা অচেনা শব্দ যখন আমরা প্রথমবারের মতো পড়ি তখন সেটা প্রথম কয়েকবার পড়তে আমাদের কাছে খুবই কঠিন লাগে। কয়েকবার পড়ার পরে একটু সহজ মনে হয়। কিন্তু কয়েকবার পড়ার পড়েও যে পরবর্তীতে এই ওয়ার্ডটা মনে থাকবে সেটার গ্যারান্টি দেওয়া কিন্তু মুশকিল। আর তাই একটা ওয়ার্ড পড়ার সময় সেই ওয়ার্ডটাকে ইমাজিন করতে হবে বা ফিল করতে হবে। বাস্তব কোনোকিছুর সাথে মিলিয়ে পড়তে হবে। তবেই দীর্ঘদিন পড়েও ওয়ার্ড বা শব্দটা মনে থাকার সম্ভাবনা থাকে অনেক বেশি।
২. ভিজুয়াল লার্নিংঃ
আমরা যখন কোনো জিনিস বাস্তবে দেখি বা কোনো একটা ভিডিও দেখি, তখন সেটা ভুলে যাওয়ার সম্ভাবনা নেই বললেই চলে। আমরা যখন কোনো মুভি দেখি তখন সেই মুভির নাম মনে থাকুক বা না থাকুক মুভির সীন বা দৃশ্য কিন্তু ঠিকই মনে থেকে যায়। সেজন্য আমাদের উচিত কোনো ওয়ার্ড পড়ার সময় সম্ভব হলে সেই ওয়ার্ডের অর্থটাকে দর্শন সংক্রান্ত করা। বাস্তবিকতাই আমাদের শেখার গন্ডিটাকে সহজ করে দেয়।
৩. এ্যাপ্লাইয়িং অব হিয়ারিংঃ
যখন আমরা কোনো জিনিস বার বার পড়ার পড়েও মুখস্থ বা মনে রাখতে পারি না। তখন অন্য কেউ সেটা মুখে বলে কয়েকবার পড়ে বুঝিয়ে দিলে সহজে মনে থেকে যায়। এটাকে বলে এ্যাপ্লায়িং অব হিয়ারিং বা শ্রবণশক্তির প্রয়োগ।
৪. ক্রিয়েটিং এ্যা রিডিং এনভায়রনমেন্টঃ
পড়াশোনা করার জন্য একটা সুন্দর পরিবেশের দরকার হয়। আর যদি সেটা হয় ভোকাবুলারি পড়ার কথা তাহলে তো পরিবেশের কথা আগেই আসবে। সুন্দর ও মনোরম পরিবেশে পড়া বেশি মুখস্থ হয়। তাই পরিবেশ একটা বিরাট প্রভাব ফেলে ভোকাবুলারি লার্নিং এ।
৫. কমিউনিকেটিভ লার্নিংঃ
পড়া দুই রকমের হয়। এক হলো আস্তে আস্তে বা মনে মনে পড়া। আরেকটি হলো শব্দ করে পড়া। ভোকাবুলারি পড়ার ক্ষেত্রে জোড়ে বা শব্দ করে পড়াই বেশি কার্যকরী। কেননা জোড়ে পড়লে শব্দটা কানে শোনা যায়, এতে ভোকাবুলারি বেশিদিন মনে থাকে।
৬. বিভিন্ন মাধ্যমে শেখাঃ
পড়ার টেবিলে সারাদিন বসে না থেকে হাঁটাহাঁটি বা পায়চারি করে শিখলে দ্রুত মুখস্থ হয়। ছোট বাচ্চারা যে সারাদিন এটাসেটা করে এতেও তাদের শিক্ষা হয় বিভিন্ন মাধ্যম থেকে। শেখা জিনিসটা আসলে জোর করে হয় না। শিখতে হয় নিজ ইচ্ছেতে বিভিন্ন মাধ্যমের মাধ্যমে।
লিপ ইয়ার বা অধিবর্ষ কি? অধিবর্ষ কেন হয়? বিস্তারিত ইতিহাস জানুন |
৭. Mnemonics (স্মৃতিবিদ্যা)ঃ
এটার মানে হলো শব্দ মনে রাখার টেকনিক। যেমন-abash মানে কাউকে বাঁশ দেওয়া। অর্থাৎ এর অর্থ হয় লজ্জা দেওয়া। এভাবে নিজের মতো টেকনিক বানিয়ে শব্দ মনে রাখা যায় সহজেই।
৮. একই অর্থ বুঝানো শব্দগুলো একত্র করে আয়ত্ত করাঃ
কিছু শব্দের ইংরেজি ভিন্ন হলেও অর্থ একইরকম বুঝায়। তবে পুরোপুরি একইরকম না হলেও কাছাকাছি। সেই শব্দগুলোকে একসাথে রপ্ত করতে পারলে সুবিধা। কিছু শব্দ যেমন-
see- দেখা (সামনে যা আছে সবকিছু দেখা)
look- দেখা (একটা কিছু নির্দিষ্ট করে দেখা)
watch- দেখা (মনোযোগ দিয়ে দেখা,মুভি বা কার্টুন)।
peep- দেখা (উঁকি দিয়ে দেখা)
৯. Root word:
মূল শব্দ জানা থাকলে মূল শব্দের সাথে সহজেই অনেককিছু জুড়ে দিয়ে নতুন শব্দ বানানো যায়। তাই প্রতিটি মূল শব্দ জানা জরুরি।
১০. suffix and prefix:
মূল শব্দের সাথে suffix অথবা prefix যুক্ত করে সহজেই নিউ ওয়ার্ড বা নতুন শব্দ পাওয়া যায়। যা আমাদের ইংরেজি ওয়ার্ড জানার পরিধিকে বৃদ্ধি করে।
১১. শব্দের সাথে সমার্থক ও বিপরীত শব্দ মুখস্থ করাঃ
একটা শব্দ শেখার পাশাপাশি সেই শব্দের সমার্থক ও বিপরীত শব্দটা শিখে ফেললে উক্ত শব্দগুলো সহজেই মনে থাকে অনেকদিন। একটার সাথে আরেকটার সামঞ্জস্য রেখে পড়লে ভোকাবুলারি শেখা আমাদের সবার কাছে খুবই মজাদার হয়ে উঠবে।
১২.শব্দের বানানের উপর জোর দেওয়াঃ
একটা ইংরেজি শব্দ শিখলে সেই শব্দের বানানটা শিখে ফেললে পরবর্তীতে একই রকমের শব্দের বানান আপনা আপনিই পারা যায়।
১৩. শব্দের উচ্চারণে মনোযোগ দেওয়াঃ
শব্দের উচ্চারণ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। শব্দের উচ্চারণ ঠিক না করে ভোকাবুলারি শিখতে চাওয়াটাই বৃথা। সেজন্য উচ্চারণের দিকে আমাদেরকে মনোযোগী হতে হবে।
কম্পিউটার কি? কম্পিউটার কত প্রকার? জেনে নিন বিস্তারিত (2024) |
১৪. মনোযোগ দেওয়াঃ
ইংরেজি ভোকাবুলারি পড়ার সময় মনোযোগ জিনিসটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মনোযোগ দিয়ে আয়ত্ত করার চেষ্টা করলে সহজেই অনেক বেশি শব্দ রপ্ত করা যায়। মনোযোগ ছাড়া যে কেনো কাজ বা পড়া সহজে আয়ত্ত করা সম্ভভ হয়না। তাই মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। বিশেষ করে ভোকাবুলারি শিখার ক্ষেত্রে।
১৫. মুভি দেখাঃ
মুভি দেখে আমরা চাইলে অনেক নতুন শব্দ শিখতে পারি। প্রথমে মুভি বা কার্টুন দেখা শুরু করলে প্রথমদিকে একটু পরিশ্রম হবে শব্দ আয়ত্ত করতে কিন্তু ধীরে ধীরে বিষয়টা সহজ হয়ে যাবে। একটা সময় দেখা যাবে যে, মুভি দেখার সময় হাতে গোনা কয়েকটা শব্দ ছাড়া সব শব্দই আমাদের পরিচিত।
১৬. উপযুক্ত টুলস খুঁজে বের করাঃ
পড়ার গন্ডিটাকে কিছু নিয়ম থেকে বের করে এনে একটু স্মার্টভাবে গুছাতে হবে। বিভিন্ন ধরনরে গেইম বা অ্যাপের মাধ্যমে নতুন নতুন ওয়ার্ড শিখা যায়।
১৭. অনুশীলনঃ
আপনি কিছু ওয়ার্ড দুই একদিন পড়লেন। কিন্তু পরে আর পড়লেন না এতে করে কখনোই ভোকাবুলারি মুখস্থ হবে না। শব্দভান্ডার হচ্ছে অনুশীলনের বিষয়। যত বেশি অনুশীলন করা হবে ততই বেশি মাথায় এটার স্থায়িত্বকাল বেশি হবে।তাই বেশি বেশি অনুশীলন করতে হবে।
১৮. ফ্ল্যাশকার্ডঃ
ইংরেজি ভোকাবুলারি মুখস্থ করার জন্য এত কষ্ট করতে হবে কিন্তু দিনশেষে যদি একটু ফ্যাশকার্ডই না করি তাহলে ফলাফল আশানুরূপ আসবে না। সেজন্য আমাদরেকে ছোট্ট একটা কাজ করত হবে আর সেটা হলো- প্রতিদিন যতগুলো ভোকাবুলারি পড়ব সবগুলো খাতার ছোট ছোট টুকরায় লিখে ফেলতে হবে।যত বেশি লেখা যায় তত বেশি মুখস্থ হয়। গবেষণায় উল্লেখ আছে যে,পড়ার থেকে লিখতে পারাটা বেশি কার্যকরী।
১৯. শেখার আগ্রহ বৃদ্ধি করাঃ
জোর করে কোনোকিছুই সম্ভব হয় না কখনো। তাই আমাদেরকে শেখার আগ্রহটাকে বাড়াতে হবে এবং প্রতিনিয়তই নতুনভাবে নিজেকে পড়াশোনায় গভীরভাবে ডুবাতে হবে।
২০. পরবর্তী স্তরে ফোকাস করাঃ
ধাপে ধাপে পড়াশোনাটাকে সাজিয়ে সেই অনুযায়ী অনুশীলন করে পরবর্তী ধাপে যাওয়ার জন্য নিজেকে প্রস্তুত করা একটি অন্যতম উপায়।
এছাড়াও আরও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ও কার্যকরি উপায় রয়েছে। তবে এগুলো মেনে চলতে পারলেই ভোকাবুলারি নিয়ে খুব বেশি ভোগান্তির শিকার হতে হবে না। আপনার ভোকাবুলারির যাত্রা হোক সুখময়। আর্টিকেলটি শেয়ার করতে পারেন আপনার ব্যবহৃত সোশ্যাল মিডিয়াতে। এই ধরনের বিভিন্ন তথ্য পেতে প্রতিদিন আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। পাঠক বিডির পাঠক হয়ে সাথে’ই থাকুন। ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you so much ♥
thank you