সিভি লেখার নিয়ম

জনপ্রিয় আর্টিকেল

সিভি লেখার নিয়ম । বাংলা সিভি লেখার নিয়ম (সিভি ফরমেট সহ)

আর্টিকেল এর সূচিপত্র

সিভি লেখার নিয়ম হয়তো আমাদের অনেকেরই অজানা। সিভি হলো জীবনবৃত্তান্ত। যার ইংরেজি হলো curriculum vitae। ছোট্ট এই জীবনে আমাদের কত কিছুর দরকার হয়। দৈনন্দিন জীবনে আমরা ছুটছি একটা চাকরির পিছনে। কতই না দরকার আমাদের একটা ড্রিম জবের। আমাদের সামান্য অজ্ঞতাই হতে পারে চাকরি না পাওয়ার সবচেয়ে বড় বাঁধা। আর এই চাকরি পাওয়ার ক্ষেত্রে সবচেয়ে বাঁধা হয়ে দাঁড়ায় ভাইবা এবং সিভি।

একজন প্রার্থী কতটুকু দক্ষ তা ফুটে উঠে তার সিভিতে। সিভি শুধু লিখলেই হয় না, সিভিতে থাকতে হয় নিজের পরিচয় ও কাজের দক্ষতা। বলা যায়, একজন চাকরিদাতা একটা সিভির মাধ্যমেই একজনকে নিয়োগ দিয়ে থাকেন। তাহলে ভেবে দেখুন যে, একটি সিভি আপনার জন্য ঠিক কতটা গুরুত্বপূর্ণ?

অনেক প্রার্থীই কম্পিউটারের দোকানে পাওয়া কম্পোজ করা সিভি জমা দিয়ে দেয়। যেটা কিনা একেবারেই উচিত নয়। আপনি চাইলেই নিজের জন্য একটি সুন্দর, গুছানো ও মানসম্মত সিভি তৈরি করতে পারেন। এতে করে চাকরিদাতার নজর আপনার দিকেই আকর্ষিত হবে এবং চাকুরি পাওয়ার সম্ভাবনাও বেড়ে যাবে বহুগুণ। তাই প্রথমে আপনাদের কাজের দক্ষতাগুলো নোট করা উচিত এবং পরবর্তীতে সেই অনুযায়ী একটি মানসম্মত সিভি প্রস্তুত করা জরুরি। কেননা এই সিভিই আপনার ক্যারিয়ারের একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।

আমরা সিভির গুরুত্ব সম্পর্কে জানলাম। এখন মনে প্রশ্ন জাগতে পারে যে, সিভি কী? সিভি দিয়ে কী হয়? সিভি কীভাবে লিখতে হয়? আর কেনই বা সিভির গুরুত্ব এত বেশি? চলুন জেনে নিই সিভি লেখার নিয়ম সম্পর্কে সকল তথ্য। সিভির তথ্যগুলোকে কয়েকটি ধাপে আলোচনা করা হলো।

সিভি সূচিপত্রঃ

  • ১. সিভি কী?
  • ২. একটি সিভিতে কী কী থাকে?
  • ৩. সিভি কীভাবে লিখতে হয়?
  • ৪. সিভির ফরম্যাট কেমন হওয়া উচিত?
  • ৫. সিভির ফন্টের সাইজ কেমন হয়?
  • ৬. কোন ধরনের সিভি লিখা উচিত?
  • ৭. সিভি কয় ধরনের হয়?
  • ৮. সিভিতে কোন জিনিসগুলো ফোকাস করা উচিত?
  • ৯. সিভির কোন কোন বিষয়ে সচেতনতা জরুরি?
  • ১০. শেষাংশ কেমন হয়?

১. সিভি

সিভি হলো জীবনবৃত্তান্ত। যার ইংরেজি হলো curriculum vitae। যেখানে নিজের নাম, জন্মতারিখ, বাবা মায়ের নাম, নিজের ঠিকানা, কাজের দক্ষতা ইত্যাদি উল্লেখ থাকে। এছাড়াও একাডেমিক তথ্যের পাশাপাশি শিক্ষাগত যোগ্যতা, কাজের অভিজ্ঞতাও উল্লেখ থাকে। মোটকথা, সিভি হলো নিজ সম্পর্কে ২-৩ পৃষ্ঠার সম্পূর্ণ একটা ডকুমেন্ট।

২. সিভিতে যা যা থাকে

একটি সিভিতে অনেক কিছু থাকে। একটা বিষয়ের থেকে আরেকটা বিষয় কম গুরুত্বপূর্ণ নয়। সেজন্য সিভিতে সব বিষয়কে সুন্দর করে ফুটিয়ে তুলতে হয়। যেন সিভিটি একটা আদর্শ সিভিতে পরিণত হয়। সিভি লেখার নিয়ম জানলে আপনার জন্য একটি আদর্শ সিভি লেখা সহজ হয়ে যাবে।

সিভিতে থাকে-

তথ্যঃ এখানে নাম, ঠিকানা, ইমেইল এড্রেস দিতে হবে। প্রয়োজন হলে আপনার ফোন নম্বরও দিতে হবে। তবে আপনার ছবি দেওয়া জরুরি নয়।

ব্যক্তিগত ‍বিবৃতিঃ আপনি কেমন ক্যারিয়ার গড়তে চান বা ক্যারিয়ারকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যেতে চান এবং সেই ক্যারিয়ারের সাথে আপনার চাকরির কী সম্পর্ক সে ব্যাপারে ১০০ শব্দের মধ্যে আলোচনা করতে হবে।

ভাষাগত দক্ষতাঃ বাংলা আমাদের মাতৃভাষা। আর এই মাতৃভাষার প্রয়োগ ঠিক জানেন কিনা এটিও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। আর পাশাপাশি আপনি কয়টা ভাষার উপর দক্ষ সেগুলো উল্লেখ করবেন।

কম্পিউটারের দক্ষতাঃ কম্পিউটারের দক্ষতা বর্তমান সময়ে একটি অতীব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা মোটামুটি সকল সেক্টরেই কম্পিউটার ব্যবহার বাধ্যতামূলক। আর আপনি যদি কম্পিউটারের স্কিল অর্জন না করেন, তাহলে একটি ভালো চাকরি আশা করাটা বোকামিস্বরূপ।

শিক্ষাগত যোগ্যতাঃ সম্প্রতি আপনি কোন ডিগ্রি অর্জন করতে চাচ্ছেন সেটি উল্লেখ করুন। আর আপনি যদি মাস্টার্স ডিগ্রি অর্জন করে থাকেন। তাহলে এসএসসি বা এইচএসসি উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই।

কাজের অভিজ্ঞতাঃ পূর্বে আপনি কোনো কাজের সাথে জড়িত ছিলেন কিনা। যদি যুক্ত থেকে থাকেন তাহলে সেই কাজের অভিজ্ঞতা সম্পর্কে লিখতে পারেন। যেটা আপনার সিভিকে ভারি করবে।

ক্যারিয়ার গড়াঃ আপনি আপনার ক্যারিয়ার নিয়ে ঠিক কতটা সচেতন সেটিও চাইলে উল্লেখ করতে পারেন। আর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো যে, আপনার ক্যারিয়ারের সাথে উক্ত চাকরি কতটা সংযোগ রাখে এবং কতটা গুরুত্বপূর্ণ সেটিও উল্লেখ করবেন।

অন্যান্য দক্ষতাঃ

আপনার কত ধরনের দক্ষতা অর্জিত আছে এবং আরও কতটুকু দক্ষতা অর্জন করতে চান সেটি উল্লেখ করবেন। মনে রাখবেন, দক্ষতাই আপনার কাজের পরিচয় দিবে।

অর্জনঃ আপনার পূর্বের জীবনে কী কী অর্জন করতে পেরেছেন সেগুলো লিখবেন। যেমনঃ প্রাসঙ্গিক হলে আপনার অর্জনকৃত সম্মাননা, পুরস্কার বা প্রকাশনাও উল্লেখ করতে পারেন।

শখ ও আগ্রহঃ আপনার যেকোনো কাজের প্রতি আগ্রহ কেমন বা আপনার ক্যারিয়ারের কী কী শখ আছে সেগুলোও উল্লেখ করা উপযোগী।

সাক্ষরও তারিখঃ সিভির আবেদনে আপনার হাতের স্পষ্ট ও সুন্দর সাক্ষর থাকতে হবে।

ছবি সংযোজনঃ ছবি যদি সংযোজন করতে হয় তাহলে অবশ্যই নতুন ছবি সংযোজন করার চেষ্টা করবেন। যেন চেহারার সাথে ছবির মিল থাকে। কোনো ধরনের পুরাতন ও অস্পষ্ট ছবি যুক্ত করবেন না এবং কালো চশমা পরিহিত ছবি গ্রহণযোগ্য নয়।

বাংলা শব্দের পার্থক্য, যা আপনার কথা/লিখার ভাষাকে সুন্দর করে তুলবে

অঙ্গীকারনামাঃ সিভির লিখা গুলোতে বানানের প্রতি সচেতন হবেন। সর্বোপরি আপনি সিভিতে উল্লিখিত সকল তথ্যই সত্য এ ব্যাপারে নিশ্চিত করার জন্য আপনার একটি স্পষ্ট সাক্ষর থাকতে হবে।

রেফারেন্সঃ আপনার কাজ বা দক্ষতা নিয়ে ভালো জানেন এরকম দু-একজনের নাম, ফোন নম্বর উল্লেখ করতে পারেন। তবে অবশ্যই তাদেরকে অনুমতি নিয়ে রেফারেন্স দিবেন। কারণ পরবর্তীতে হতে পারে তারা অনুমতি প্রকাশ না করায় হিতে বিপরীত হবে।

৩. সিভি লেখার নিয়ম

সুন্দর একটি সিভি লিখতে হলে প্রথমে নিজের স্কিলগুলোকে সাজিয়ে নিতে হয়। যেমনঃ

  • প্রথমে নিজের নাম
  • বাবা মায়ের নাম
  • ইমেইল এড্রেস
  • আপনার পরিচয়
  • ঠিকানা
  • কাজের দক্ষতাগুলো পর পর সাজিয়ে দিতে হবে

৪. সিভির ফরম্যাট যেমন হওয়া উচিত

একটি সিভির ফ্যারমেট বা গঠন হতে হবে উন্নত। সর্বদিক বিবেচনা করে সিভির ফরম্যাট দিতে হয়ে। ফরম্যাটগুলো যেমন হয়ঃ

পেইজ সংখ্যাঃ চাকরির সিভি ১-২ পৃষ্ঠার বেশি হওয়া যাবে না। পেইজ সংখ্যা বেশি হলে সিভিটি গ্রহণযোগ্যতা হারাবে।

পেইজের সাইজঃ পেইজের সাইজ A4 হতে হবে।

স্পেসিংঃ সিভির লাইনগুলোতে স্পেসিং রাখা উচিত।আর একটি লাইন থেকে অপর লাইনের মধ্যে যথেষ্ট স্পেসিং রাখতে হবে।এবং স্পেসিংয়ের সাইজ যেন প্রত্যেক লাইনে একইরকম হয়।

বুলেট পয়েন্টঃ বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করলে সিভিটি সুন্দর ও আর্কষণীয় দেখাবে। তবে সিভির শুরুতেই অর্থাৎ সারাংশে বুলেট পয়েন্ট ব্যবহার করা যাবে না।

ডিজাইনঃ বিশেষ প্রয়োজন ছাড়া সিভিতে অতিরিক্ত ডিজাইন করা উচিত নয়। যেটা কিনা নিয়োগদাতার কাছে দৃষ্টিকটু মনে হয়।

সাবহেডিংঃ সিভির গুরুত্বপূর্ণ তথ্যগুলো তুলে ধরার জন্য প্রয়োজনে সাবহেডিং ব্যবহার করুন।

৫. সিভির ফন্টের সাইজ যেমন হয়

সিভির ফন্টঃ সিভি Arial বা Calibri ফন্টে লিখুন।

ফন্টের সাইজঃ ১১/১২ ফন্টের সাইজ ব্যহার করুন।

লিখার কালারঃ ১ থেকে দুই ধরনের ফন্টের কালার ব্যবহার করুন। খুব বেশি কালার ব্যবহার করা উচিত নয়।

সাবহেডিং সাইজঃ সিভির লেখাগুলো তুলে ধরতে বা পরিষ্কার করে বুঝাতে ১৪-১৬ ফন্টের সাবহেডিং ব্যবহার করতে পারেন।

৬. যে ধরনের সিভি লিখা উচিত

সিভি তো অবশ্যই উন্নতমানের হওয়া উচিত। তার পাশাপাশি সিভিকে আমরা দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি। যেমন-

অভিজ্ঞতাভিত্তিক সিভিঃ আপনি অতীতে কোন কাজে কোন পদে দায়িত্ব পালন করেছেন সেটি গুরুত্বপূর্ণ নয়।বরং আপনার কাজের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান কতটুকু সফলতা লাভ করতে পেরেছে সেটিই গুরুত্বপূর্ণ। এই ব্যাপারগুলো মাথায় রেখে সিভি সাজানো উচিত।

দক্ষতাভিত্তিক সিভিঃ আপনার ক্যারিয়ারে আপনি কতটুকু দক্ষ হতে পেরেছেন সেগুলো উল্লেখ করে সিভির মানকে আরও উন্নত করবেন।খেয়াল রাখবেন দক্ষতাগুলো যেন সাজানো গুছানো হয়।

সিভি যত ধরনের হয়ঃ সিভি আসলে অনেক ধরনের হয়। যেমন-

চাকরির সিভি, একাডেমিক সিভি। একাডেমিক সিভিতে আসলে আছে- এসএসসি সিভি, এইচএসসি সিভি ইত্যাদি।

৮. সিভিতে যে জিনিসগুলো ফোকাস করা উচিত

সিভিতে ফোকাস করা জিনিসগুলোকে আমরা সাজিয়ে লিখতে পারি।সেগুলো হলো-

স্পেশাল দক্ষতাগুলো ফোকাসঃ আপনার মাঝে কী কী দক্ষতা আছে সেগুলো ফোকাস করে সিভিটি সাজান।স্পেশাল দক্ষতাগুলো সিভিতে ফুটিয়ে তুলুন।

মার্জিত ভাষা ব্যবহারঃ ভাষার ব্যবহার যদি মার্জিত না হয় তাহলে সিভি তার সৌন্দর্য হারাবে।

আধুনিক ফরম্যাটের ব্যবহারঃ কার্যকরী ও পেশাদার সিভি লিখার জন্য ফরম্যাট গুরুত্বপূর্ণ। সিভির ফরম্যাট হতে হবে উন্নত ও মার্জিত।

গ্র্যামার ও অন্যান্যঃ যদি ইংরেজিতে সিভি লিখেন তাহলে ইংরেজি গ্র্যামারের দিকটা খেয়াল রাখতে হবে।

মার্জিত ভাষা ব্যবহারঃ মার্জিত ভাষা ব্যবহার করতে হবে।মার্জিত ভাষা ছাড়া চাকরি অনিশ্চিত হয়ে যাবে।

কর্মউদ্যোগঃ কর্মের প্রতি উদ্যোগী হওয়ায় ফোকাস করতে হবে।

স্বচ্ছ ও আকর্ষনীয় লে-আউটঃ সিভি লেখার সময় স্বচ্ছ ও আকর্ষনীয় লে-আউট ব্যবহার করতে হয়। সিভির শিরোনাম, দক্ষতা, অভিজ্ঞতা ইত্যাদি সেকশনগুলো স্বচ্ছ হওয়া উচিত।

৯. সিভির যেসব বিষয়ে সচেতনতা জরুরি

সঠিক ভাবে সিভি লেখার নিয়ম জানা অতিব জরুরী। কারণ আপনি একটি সিভির সব বিষয়ে তো গুরুত্ব দিবেনই। তবে যেসব বিষয়গুলোতে গুরুত্ব না দিলেই নয় সেগুলো-

বানানের দিকে সতর্কতাঃ সিভিতে বানান একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কেননা বানান যদি ভুল হয় তাহলে আপনার উপরে নিয়োগদাতার একটি ভুল ধারনা তৈরি হবে।

সিভির দৈর্ঘ্যঃ সিভি কিন্তু পৃষ্ঠার পর পৃষ্ঠা লিখা যাবে না। তাহলে সিভিটি গ্রহণযোগ্য হবে না। সেক্ষেত্রে সিভির দৈর্ঘ্যের দিকে সচেতন হতে হবে।

বর্জনীয়তাঃ অপ্রাসঙ্গিক বিষয়গুলোকে বর্জন করতে হবে। ১/২ পৃষ্ঠার সিভিতে অপ্রাসঙ্গিক বিষয় দিলে চাকরি পাওয়ার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যাবে।

১০. শেষাংশ যেমন হয়

উপরের সব বিষয়ে আপনি সচেতন হবেন এবং সেই অনুযায়ী সিভিটি সম্পূর্ণ করবেন। মনে রাখবেন একজন নিয়োগদাতা আপনার সিভির জন্য ৩০ সেকেন্ডের বেশি সময় ব্যয় করবেন না। তাই বুঝতেই পারছেন আপনার সিভিটি কেমন হওয়া উচিত আসলে। সিভি হচ্ছে আপনার পূর্ণাঙ্গ তথ্যের একটি ডকুমেন্ট। আজকের এই প্রতিযোগিতামূলক উন্নত বিশ্বে এই ডকুমেন্টটিই আপনাকে চাকরি পেতে সহযোগিতা করবে।

                                 সিভি ফরম্যাট

আশা করি সিভি লেখার নিয়ম নিয়ে আজকের আর্টিকেলটি ভালো লেগেছে। এই ধরনের বিভিন্ন আর্টিকেল ও তথ্য পেতে প্রতিদিন আমাদের ওয়েবসাইট ভিজিট করুন। ভালো থাকুন, সুস্থ থাকুন। পাঠক বিডি’র পাঠক হয়ে সাথে’ই থাকুন। ধন্যবাদ আপনাকে।

গুগল নিউজে পড়ুন- পাঠক বিডি

আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার পরিচতদের সাথে শেয়ার করুন

Facebook
WhatsApp
Telegram
Twitter
Email
Print
Pathokbd Logo
সাবস্ক্রাইব
নোটিফিকেশন
guest
Ratting
1 মতামত
মতামত
নতুন পুরাতন
Inline Feedbacks
সব কমেন্ট দেখুন
Rayhan Molla
Rayhan Molla
অতিথি
May 1, 2024 3:54 pm
Ratting :
     

Thanks for share

Copyright © 2024 PathokBD.com